শহিদুল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধি:
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ঝালরচর বাজারের ইশাআতুস সুন্নাহ মডেল মাদ্রাসার ২০২৪ সালের বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয় ।
আজ ৩১শে ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার মাদ্রাসা মাঠে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন, হযরত মাওলানা আবুল খায়ের কুব্বাত(ইমাম ও খতিব ঝালরচর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ) । প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম (মহাসচিব, ইকরা নূরানী তালিমূল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ ও সভাপতি নুরুল কোরআন হিফজ শিক্ষা বোর্ড)। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি হাসান বসরী আল হুসাইনী (সদস্য, ইত্তেফাকুল ওয়ায়েজিন বাংলাদেশ)। বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মাওলানা আরিফুর রহমান, হাফেজ ক্বারী হারিসুর রহমান, মাওলানা ক্বারী আব্দুল আলীম সাদী, মাওলানা আইয়ুব আনসারী। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা সালমান হোসেন( মুফতি অত্র মাদ্রাসা)। হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান (প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইশাআতুস সুন্নাহ মডেল মাদ্রাসা)। অনুষ্ঠান দিয়ে সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, হাফেজ হযরত মাহমুদ(ইমাম ও খতিব ঝালরচর বাজার জামে মসজিদ)। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ।দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে ঝালরচর বাজার সংলগ্ন নিজস্ব জায়গাতে ইশাআতুস সুন্নাহ মডেল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২২ সালে। প্রতিষ্ঠা নগ্ন থেকেই এই মাদ্রাসারটি সুদক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসতেছে। মনোরম পরিবেশে পরিপাটি শ্রেণিকক্ষে এবং সুদক্ষ শিক্ষকদের দ্বারা পাঠদান হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সহজেই মানসম্মত শিক্ষা লাভ করছে। তাইতো এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিটি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেন। বর্তমানে মাদ্রাসাটির তিনটি বিভাগে (নূরানী,নাজেরা, হিফজুল কুরআন)শিক্ষার্থী সংখ্যা রয়েছে ২৬০ জন। ২০২৪ সালে রৌমারী,রাজিবপুর,দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ এ চারটি উপজেলার মোট ২৫ টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নূরানী মুয়াল্লিম পরিষদ বৃত্তি কল্যাণ সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। আরবি,বাংলা, ইংরেজি,গণিত এ চারটি বিষয়ের উপর একশত নম্বরে ২১ ডিসেম্বর এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ইশাআতুস সুন্নাহ মডেল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ১৪ জন ট্যালেন্টপুল এবং ১৪ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করেন। এই মাদ্রাসার যে সকল শিক্ষার্থীরা ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন সেই সকল শিক্ষার্থীরা বোর্ড থেকে ১২০০ টাকা এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আরো অতিরিক্ত ১২০০ টাকা মোট ২৪০০ টাকা বৃত্তি পাবেন। আর যে সকল শিক্ষার্থীরা সাধারণ গ্রেটে বৃত্তি পেয়েছেন তারা বোর্ড থেকে পাবেন ৮০০ করে টাকা আর ৪০০ করে টাকা পাবেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এর কাছ থেকে তারা মোট পাবেন ১২০০ করে টাকা। এমন আয়োজন দেখে শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকগণ মাদ্রাসার সুনামে পঞ্চমুখর। এমন প্রতিষ্ঠানে ছেলে মেয়েদের ভর্তি করে দিতে পারায় অভিভাবকরা আনন্দের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।