মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত উপজেলা কমিটি নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সক্রিয় ছাত্রদের বাদ দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে একটি পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় মুরাদনগর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে পাল্টা উপজেলা কমিটি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা। নতুন কমিটিতে আব্দুর রহমান উজ্জ্বলকে আহ্বায়ক এবং নাহিদুল ইসলাম নাঈমকে সদস্য সচিব করে ২৯৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নবগঠিত কমিটির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন, যেসব ছাত্র মুরাদনগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিজেদের জীবন বাজি রেখে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তাদের বাদ দিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন অছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ছাত্রদের ভাষায়, “আমরা যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম, তারাই আজ কমিটির নামে বৈষম্যের শিকার। এই স্বজনপ্রীতি ও অবিচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুরাদনগর উপজেলার এই পকেট কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।”
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন রুবেল মুরাদনগর উপজেলা কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটিতে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের নাম অন্তর্ভুক্ত না থাকায় সমালোচনা শুরু হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছাত্রদের পক্ষ থেকে নবগঠিত কমিটির প্রতিবাদে পাল্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিয়াম খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন আব্দুর রহমান উজ্জ্বল, নাহিদুল ইসলাম নাঈম, ইব্রাহিম, এনামুল, মেহেদী, সাব্বির, শরীফ, ফাহিম, সাকিব প্রমুখ।
মুরাদনগরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের বঞ্চিত করে গঠিত কমিটি ঘিরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, সঠিক প্রক্রিয়ায় এবং প্রকৃত ছাত্রদের নিয়ে কমিটি পুনর্গঠন না করলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।