মোঃ আজাদ,নিজস্ব প্রতিনিধি
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সাজিস আলম বলেন গত ১৬বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ একটি নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শাসনের অধীনে চরম জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাই বাংলার মানুষ আর কোন স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
বাংলাদেশের মানুষ হাতে হাত রেখে বাংলার মাটি থেকে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে লড়াই করে বিদায় করেছে।
সেজন্য সরকারকে ২৪`র অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সবার আগে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচার দেখতে চায় বাংলার জনগণ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, খুনি হাসিনা সহ যাদের নির্দেশে এত মানুষকে খুন করা হয়েছে, রক্ত ঝরানো হয়েছে, তাদের বিচারের শাস্তি স্পষ্ট কথা এ ঘোষণাপত্র থাকতে হবে আমরা সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের সাথে কথা বলেছি, তারা একাত্মতা প্রকাশ করে আমাদের সাথে ৭দফা দাবিকে যৌক্তিক বলে জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে দীপ জেলা ভোলায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের জনমত তৈরীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণসংযোগের অংশ হিসেবে ভোলা শহরে লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় যোগ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তম সমন্বয়ক সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, এই ঘোষণাপত্রে প্রত্যেকটি জেলা উপজেলা শ্রমিক মেহনতি মানুষের আত্মত্যাগের কথা উঠিয়ে আসতে হবে বলে জানান। এটি যেন কয়েকজনে কথা না হয়। এ সময় তিনি আরো বলেন খুনি হাসিনা গোপালগঞ্জের সেন্টিকেট বসিয়েছে। তার পরিবারের প্রত্যেকটি জায়গা সিন্ডিকেট বসিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সেগুলোকে শেষ করে সমতার একটি বাংলাদেশ দেখতে চায় বাংলার মানুষ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানকে সামনে রেখে সারা বাংলাদেশের ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে এই বাংলাদেশ থেকে খুনি হাসিনা কে ত বিতাড়িত করে ভারতে পাঠিয়েছে। তাই যে ব্যানারে কে সামনে রেখে একটি বড় অভ্যুত্থান হলো সেই ব্যানারের নাম সুস্পষ্টভাবে ওই ঘোষণাপত্র থাকে সেটি দাবি জানিয়েছে ভোলার ছাত্র আন্দোলনকারীরা।
তিনি আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, ছোটদের সরকারি খরচের চিকিৎসা, আওয়ামী খনি ও তাদের দর্শকদের বিচার এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ সহ সাত দফা যৌতিক দাবি নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র দ্রুত রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করেন। এর আগে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি পক্ষে বলা বাংলা স্কুল মোড় সদর রোড নতুন বাজার এলাকায় ঘোষণাপত্র ৭ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন।
এর আগে তিনি বলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ জসীমউদ্দীনের পরিবারের সদস্যের সাথে দেখা করে সহানুভূতি জানান। এছাড়াও জসীমউদ্দীনের কবর জিয়ারত করেন তিনি।
কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ, সমন্বয়ক এম এ সাঈদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুর রহমান তুহিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার সহ ভোলা শত শত সমন্বয়ক শিক্ষার্থী ও জনতা উপস্থিত ছিলেন।