জনপদের নিউজঃ ভোলার বোরহানউদ্দিনে আকবর আলী নামে জ্বীনের এক বাদশাকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি অভিযোগে দায়ের করা মামলায় উপজেলা ৪ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী।এই ঘটনায় পুলিশ দুই ছাত্রদল না তাকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে একজন নাম মোঃ মিজানুর রহমান রাজিব। তিনি উপজেলার সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি। অপরজনের নাম মোঃ জিহাদ, পলাতক অন্য দুই ছাত্র নেতা হলেন মোঃ তানজিল হোসেন মোহাম্মদ শাকিব খান। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পদবী জানা যায়নি।

সোমবার( ১৩ জানুয়ারি) রাতে ভোলা পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউট এর একটি ম্যাচ থেকে পুলিশ ওই দুই ছাত্রদল নেতা আটক করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করেন।

ভুক্তভোগীর মোঃ আকবর আলী। তিনি উপজেলা কাচিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মোঃকাশেম জমাদ্দারের ছেলে। পেশায় তিনি অটো রিস্কা চালক হলেও তার আড়ালে তিনি জ্বীনের ব্যবসা করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়তাকে জ্বীনের বাদশা নামে চেনেন।

ভক্তভোগী এবং বোরহান উদ্দিন থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে আকবর আলী বাড়ি ফিরছিলেন। এই সময় ভোলা চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে রাজিবের নেতৃত্বে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আকবরকে তুলে নিয়ে বলা পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউটের একটি ম্যাচে নিয়ে জিম্মি করে মুক্তি পান দাবি করেন।
কবর পেয়ে আকবর আলী ভাই তামিম হোসেন বোরহান উদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন পুলিশ ঘটনার সালে গিয়ে একবার আলি কে উদ্ধার করে এবং ছাত্রদল নেতা রাজীব ও জিহাদকে আটক করে তাদের নিয়ে আসে।

এদিকে ওই দুই ছাত্র নেতাকে আটকের খবরে বোরহান উদ্দিন থানায় অবস্থান নেন বেশ কিছু বিএনপি নেতা কর্মী। এর মধ্যে থেকে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বলো কবর পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিএনপির কয়জন সিনিয়র নেতাকর্মী থানায় গিয়ে জাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকার কারণে রাত ১২ টার দিকে আটক দুই ছাত্র দলে তাকে পুলিশ পাহারায় ভোলা সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ভুক্তভোগী আকবর চারজনের নাম উল্লেখ করে বোরহান উদ্দিন থানায় একটি মামলা করেন।

মঙ্গলবার( ১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলা সদর মডেল থানা থেকে ওই দুই নেতাকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান জানান, আসামি তারা কারা কি তাদের পরিচয় এসব যা আমার জানার বিষয় না।গ্রেফতার হওয়া ওই দুই আসামি আকবর আলী নামে একজনকে জিম্মি করে মুক্তিপন দাবি করেছিল। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুইজন আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।