দিলোয়ার হোসেন, ছাতক প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের পাগলা-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে
ঢাকাগামী মামুন পরিবহন ও আল মোবারকা পরিবহনের দুটি বাস বুধবার রাত সাড়ে ১২ টায় সুনামগঞ্জ শহর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার পথে রাত দেড়টার দিকে ডাকাত দলের কবলে পড়ে। এসময় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী দুইটি বাস, ক’টি সিএনজি ও কার গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার ২২ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে পাগলা-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে দারাখাই সেতু এলাকায় লরি ও গাছ ফেলে যাত্রীবাহী যানবাহনে এই ডাকাতি হয়। জানা গেছে, ডাকাত দলের সদস্যরা বাসের যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের মালামাল লুট করে এবং যাত্রীদের মারধর করে।
ডাকাতদের মারধোরে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হন।এ সময় সড়কে চলাচলকারী কয়েকটি ক’টি সিএনজি ও ১ টি কার ডাকাত দলের কবলে পড়ে। কারের যাত্রী পাশের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া বাজারের পরিচিত লোকদের খবর দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
ডাকাতির স্থানটি হচ্ছে সুনামগঞ্জের তিনটি থানার মোহনাস্থল হিসেবে পরিচিত এবং ছাতক থানার অন্তর্গত। ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার রাতেই ছাতক থানার পাশাপাশি জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
স্থানীয় লোকজন,পুলিশ ও ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানিয়েছেন ১৫-২০ জনের ডাকাতদল সড়কে একটি লরি আড়াআড়ি করে এবং গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সড়কে গাছ দেখে চালক গাড়ি থামালে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল গাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে যাত্রীদের ব্যাগ, নগদ টাকা ও মোবাইনফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় যাত্রীরা বাঁধা দিলে যাত্রীদের তারা মারধর করে। বাসেও ভাংচুর চালায় ডাকাত
দলের লোক।
সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা মামুন পরিবহন বাসের সুপার ভাইজার মনির হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জের
পাগলা-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দারাখাই সেতু এলাকায় লরি ও গাছ ফেলে ১৫-২০ জনের ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের নগদ টাকা মোবাইলসহ
মালামাল নিয়ে যায়। ডাকাতিস্থল তিনটি থানার মোহনাস্থলে হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা পেতে সমস্যা হয়েছে। বাসেরযাত্রী রাসেল আহমদ বলেন, বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাচ্ছিলাম। পথে হঠাৎ করে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়ি। ডাকাতরা আমাদের সব কিছু নিয়ে
গেছে।পরে স্থানীয়দের প্রতিরোধে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।
ছাতক থানার ওসি মো.গোলাম কিবরিয়া হাসান জানান, ঘ্ণ
কুয়াশাচ্ছন রাত আর ঘটনাস্থলটি থানা এলাকা থেকে বেশ দূরে,খবর পেয়ে আমরা রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পাশের শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর থানাপুলিশও ঘটনাস্থলে এসেছিল। ঘ্ণ কুয়াচ্ছন্ন রাত থাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে তার ধারণা। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি কারণ যারা ভুক্তভোগী সবাই ঢাকা চলে গেছে। ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে শিগগিরই তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।