মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি,,, ২৫ বছরের পুরনো ২ নং হাজীরহাট ইউনিয়ন এর চর যতিন ৪ নং ওয়ার্ড বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক টি । তবে এই গ্রামে ২৫ বছরেও নির্মাণ হয়নি পরিকল্পিত ও আধুনিক পানি নিষ্কাশনের নালা। অপরিকল্পিতভাবে তৈরি যে নালা ছিল, তাও সংস্কার হয় না ২০ বছর ধরে। দখল, দূষণ আর স্থাপনার ভিড়ে তা হারিয়ে গেছে। ফলে কয়েকদিন বৃষ্টি হলে উপজেলা পরিষদ চত্বর, মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজ, সড়ক, বাড়ি ঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা দের । এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীসহ সাধারণ মানুষ।
এ পরিস্থিতিতে নালা সংস্কার না করে পানি নিষ্কাশনের জন্য কয়েকটি স্থানে শ্যালো মেশিন বসিয়ে ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় গ্রাম বাসি দের । স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত বছর থেকে ৬-৭ পরিবারের পানি নিষ্কাশনের এক মাত্র পথ বন্ধ করে দেয় প্রভাবশালী মহিব্বুল্যাহ মাওলানা। মহিব্বুল্যাহ মাওলানা’র এমন প্রতিহিংসার কারণে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এবং পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম বাসি এবং এলাকাবাসী তাদের পরিকল্পিত ও আধুনিক নালা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলা পরিষদ চত্বর, পরিষদের মাঠ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ৪ ও ৭ নং ওয়ার্ডের প্রায় ৬-৭ শত বাড়ির পানি নিষ্কাশনের পথ এবং প্রায় ৫০ একর জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ২ নং হাজীরহাট ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ড চর যতিন এলাকার হাজীরহাট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার কালভার্ট দিয়ে এই গ্রামের পানি নিষ্কাশন করতে হয় গ্রাম বাসিদের। পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ড্রেনটিও বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী। এই পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রামবাসী রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন। আমাদের এলাকার পানির রাস্তা নেই । বৃষ্টি হলে রাস্তার উপর পানি জমে থাকে। রোগী ও মানুষের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় ।
স্থানীয় বাসিন্দা নোমান হোসেন বলেন । বর্ষার মৌসুমে পানি যাওয়ার এক মাত্র পথ হচ্ছে এই লোঙ্গাটা । পানি যাওয়ার রাস্তা টি আজ প্রায় ২ বছর মহিব্বুল্যাহ মাওলানা বন্ধ করে রাখছে। গত বছর পানি যাওয়ার রাস্তা না থাকার কারনে আমাদের বাড়িঘর, পুকুর ডুবে গিয়ে আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি এই প্রতিহিংসার প্রতিবাদ জানাই।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন। এই রাস্তার ড্রেন টা প্রায় ৩০ বছর ধরে আছে কখনো গ্রাম বাসিন্দা দের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায় নি গত ২ বছর ধরে এলাকার প্রভাবশালী বাসিন্দা মহিব্বুল্যাহ মাওলা মাটি দিয়ে ড্রেনের পানি যাতায়াত এর একমাত্র পথ বন্ধ করে দেন। এতে করে পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয় রোগী ও স্কুল,মাদ্রাসা, কলেজ এর শিক্ষার্থী রা সহ নানান শ্রেণিপেশার মানুষের।
মহিব্বুল্যাহ মাওলানার কাছে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে। তিনি জানান আমার জায়গায় আমি মাটি দিয়েছি তাতে আপনাদের সমস্যা কি। এত বছর আমার জায়গা দিয়ে পানি গেছে এখন আর আমি পানি যেতে দেবোনা।