প্রতিনিধি: মনপুরা (ভোলা)
ভোলার মনপুরা উপজেলার ৫ নম্বর কলাতলী ইউনিয়নের মানুষ বছরের পর বছর ধরে দুর্যোগ আর জলাবদ্ধতা নিয়ে বেঁচে আছে। একটু বৃষ্টি হলেই কিংবা সমুদ্রের লঘুচাপ তৈরি হলেই পানির নিচে চলে যায় পুরো ইউনিয়ন। ডুবে যায় শত শত ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বাজার। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ তখন সীমা ছাড়িয়ে যায়।
সাম্প্রতিক জোয়ার ও বৃষ্টিতে কলাতলী আবারও তলিয়ে গেছে। এমন কোনো হাটবাজার নেই, যেখানে পানি ওঠেনি। রাস্তা-ঘাট অচল, মানুষ গৃহবন্দি। স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধ, রান্না ও বিশুদ্ধ পানির সংকট চরমে।
কলাতলী ইউনিয়নটি মূল মনপুরা দ্বীপ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন একটি চরাঞ্চল। এখানে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এখনো পর্যন্ত এখানে নেই কোনো স্থায়ী বেরিবাঁধ বা বাঁধ-নির্ভর পানি প্রতিরোধ ব্যবস্থা। ফলে প্রতিবারই দুর্যোগ এলে এখানকার মানুষকে জীবন-মরণ যুদ্ধ করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা এক বলেন,
“আমার বাড়ির সব জিনিস পানিতে ভেসে গেছে। ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে কোথায় যাব বুঝতে পারছি না। কত বছর ধরে বলতেছি একটা বাঁধ করে দেন, কেউ শোনে না।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, কলাতলী ইউনিয়নকে বাঁচাতে হলে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণ, জরুরি ত্রাণ সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ছাড়া এ দুর্যোগের চক্র থেকে মুক্তি নেই।
মানবিক আবেদন:
কলাতলীর মানুষ আর কতবার এভাবে ভেসে যাবে? প্রয়োজন এখন দ্রুত সরকারি নজরদারি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন। এই চরাঞ্চলের মানুষের জীবনও এই দেশেরই অংশ — অবহেলা নয়, দরকার কার্যকর পদক্ষেপ।