নিজস্ব প্রতিনিধি ।
ভোলা জিয়া সুপার মার্কেটে ব্যবসায়ীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও দোকান ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার ( ৩১ জুলাই) দুপুরের শহরের জিয়া সুপার মার্কেটের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ রেখে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা বক্তব্য রাখেন, জিয়া সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক আব্দুল বারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম দুলাল, ব্যবসায়ী জুবায়ের হোসেন, ওমর ফারুক প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় জিয়া সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ বলেন, সবুজ গংরা জিয়া সুপার মার্কেটের মুড়ি পট্টির দোকান দখল করার পায়তারা করছেন। গত ৩০/৭/২০২৫ তারিখে অতর্কিতভাবে হাঠাৎ করে এসে সবুজ গংরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। এই প্রতিবাদে আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। তাকে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আওতায় আনায় হয়। তার জন্য আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পূর্বেও এই জিয়া সুপার মার্কেটে সাথী ক্লথ ষ্টোরে চার চার বার হামলা হয়েছে,দোকানে তালা মারা হয়েছে, চাঁদা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার কোন প্রতিকার আমরা পাই নাই। পাই নাই বিদাই আজকে তার এত সাহস পায়েছে। আমরা নিরীহ ব্যবসায়ী ছোটখাটো দোকানদার। আমাদের সহযোগিতা করবে কে? এই ভোলার প্রশাসকেই তো আমাদের সহযোগিতা করবে। তাই আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করছি জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং পুলিশ সুপার মহোদয় পূর্ব থেকে তদন্ত করে সবুজ গং সহ রাজু গং সবাইকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে জিয়া সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম দুলাল বলেন, শান্তি প্রিয় ভোলাকে অশান্ত করার জন্য ১৭ বছর আওয়ামী লীগের দোসর তোফায়েল আহমেদের ভাগিনা মেয়র মনিরুজ্জামান আমাদেরকে চাঁদা, অত্যাচার, নির্যাতন, মামলা দিয়ে আমাদেরকে অত্যাচার করেছে। ৫ই আগস্টের পরে মেয়র মনিরুজ্জামান ভোলা থেকে পালানোর পরে তার এক দোসর ভোলা পৌরসভায় প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গতকাল সবুজ গংরা আমাদের মাকের্টের দোকান লুট করার জন্য ২০/২৫ জন মহিলা এবং ৩০/৪০ জন পুরুষ নিয়ে হামলা করেছে। এতে আমাদের ব্যবসায়ী ৫/৭ জন ভাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দোকান ভাংচুর করেছে, লুটপাট করেছে। এই প্রশাসক বিগত দিনে আমরা ঘরের মালিক থাকা সত্ত্বেও আমাদের ডিট ক্যানসেল না করে অন্য যেই সবুজ গং এর লোকেদের ঘর ভাড়া দিয়ে দিয়েছে। আমরা আমাদের ঘরে বৈধভাবে বসে আছি। প্রশাসন এটার কোন বিচার বা ফয়সালা না করে সবুজ গংদের নামিয়ে আমাদের শান্তি প্রিয় ভোলা অশান্ত করার জন্য পায়তারা করতেছে। এক আওয়ামীলীগের দোসর পালিয়েছে আর আওয়ামীলীগের বসিয়েছে।তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তাই আমরা ভোলা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি।
এরআগে বুধবার ( ৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় জিয়া মার্কেটের দোকান বরাদ্দ নিয়ে সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে প্রতারনা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে ব্যবসায়ীরা।