নিজস্ব প্রতিনিধি৷৷৷
ভোলা সদর উপজেলায় ‘জুলাই বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বর্ণাঢ্য গণমিছিল ও দিনব্যাপী ‘৩৬ জুলাই কর্মসূচি’ পালন করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে কাবিল মসজিদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাব চত্বরে শেষ হওয়া এই বর্ণাঢ্য মিছিলে শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি বাংলা স্কুল মোড়, বরিশাল দালান, হাটখোলা জামে মসজিদ, ইলিশ চত্বর, নতুন বাজারসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর ভোলা জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাস্টার মোঃ জাকির হোসাইন। আরও বক্তব্য রাখেন—জেলা নায়েবে আমির ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হারুনুর রশিদ, জেলা প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি অধ্যাপক আমির হোসেন, সদর উপজেলা আমির মাওলানা কামাল হোসেন, পৌর আমির মাওলানা জামাল উদ্দিন, সদর উপজেলা নায়েবে আমির আব্দুল বারী মালতি ও সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল গাফফারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, “২০২৪ সালের এই দিনে দেশের ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়ন, গুম, গুলি উপেক্ষা করে গণআন্দোলন গড়ে তোলে, যা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ইতিহাসে ‘জুলাই বিপ্লব’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।” তাঁরা আরও বলেন, “আমরা শহীদদের যথাযথ মর্যাদা, পঙ্গুদের পুনর্বাসন এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি না হলে আমরা কোনো নির্বাচন চাই না।”
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনব্যাপী দোয়া মাহফিল, শহীদদের স্মরণে কবর জিয়ারত, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
সার্বিক কর্মসূচি পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির প্রতিবাদে শুরু হওয়া আন্দোলন দ্রুতই গণআন্দোলনে রূপ নেয়, যা ইতিহাসে ‘জুলাই বিপ্লব’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
–