তানজিল হোসেন ||
ভোলা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড শহরের বাংলাস্কুল মোড় স্মার্ট কম্পিউটার এর বিপরীত পাশে মায়ের দোয়া পাসফুট নামের দোকান ভাঙচুর’সহ দোকানের কর্মচারী মাহিমকে (১৪) মারধর করার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সমর্থক পিয়ার হাসান’সহ আবির এর বিরুদ্ধে। গত ১৫ আগস্ট (শুক্রবার) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় এই নেক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী মাহিম কান্নাজড়িত কন্ঠে গণমাধ্যমকে জানান, গত কাল রাতে একজন ভ্রদলোক দোকানে আসেন বেসকিছু সদাই নেন। যাওয়ার সময় টাকা চাইলে বলেন টাকা পড়ে দিব। আমি বাকি দিতে অস্বীকার জানালে আমার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং আমার কলার ধরে চড়থাপ্পড় মারেন। পড়ে আমার ডাক চিৎকারে আসপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিক আমি আমার আমাকে মোবাইল করে আসতে বলি। মামায় আসলে তাদের সঙ্গে মামার তুমুল ঝগড়া হয়৷ পড়ে মামায় থানায় কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন।
ঘটনার সময় ব্যবসায়ীক জাকির, আনোয়ার হোসেন এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিয়ার হাসান ২৪-এর গনঅভ্যুত্থানের আগে ছাত্রলীগ নেতা হিমেলের ছত্রছায়ায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম করে বেড়াতেন। নতুন ভাবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পড়েও কিছু নাম দাড়ি নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। এতেই তার অপরাধ সীমাবদ্ধ নয়। বাস্তব উদাহরণ স্বরুপ এই বাংলাস্কুল মোড়ে মায়ের দোয়া পাসফুটে নেক্কারজনক হামলা ও ১৪ বছরের শিশু মাহিমকে নির্যাতন করার মত ঘটনাটি। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোড়ালো ভাবে অনুরোধ জানাতে চাই পুলিশ প্রশাসন অতি দ্রুত দোষীদের আইনের মুখোমুখি করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
জাতীয় নব দিগন্ত সাপ্তাহিক পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি মোঃ জুয়েল রানা বলেন, আমি শুক্রবার রাতে ব্যক্তিগত একটা কাজে দোকানের বাহিরে ছিলাম। হঠাৎ আমার কাছে মাহিম ফোন করে কান্নাশুরে বলেন, মামা আমনে তারাতাড়ি দোকানে আইয়েন আমারে একজন লোক মারে। আমি প্রয়োজনীয় কাজ ফেলে রেখে খুব দ্রুত দোকানে এসে উপস্থিত হই। এবং আমি মাহিমকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে আমার গায়ে হাত তুলেন। এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। আমি তাৎক্ষণিক ভোলা সদর মডেল থানার দায়িত্বরত অফিসারকে বিষয়টি মুঠোফোন জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন এসআই পলক।