মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি।
আমাদেরকে বড় হুজুর (মাওলানা মফিজুল ইসলাম) শিখিয়ে দেয় তোমাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করে তোমার বাবা আছে, তাহলে বলবা না বাবা নাই, অথবা বলবে বাবা খোজখবর নেয়না।”
“(যদি কেউ ভুলে সত্য বলে দেয় তাহলে তাকে অনেক মারে।”)
(এ বিষয়ে মফিজ মাওলানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যপারে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং তিনি গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ করেন। তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সাংবাদিকদের ক্যামেরায় হাত দিয়ে ভিডিও ধারণে বাধা প্রদান করেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন “মনপুরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মামুন সাহেব বলেছেন কোন সাংবাদিকে বক্তব্য দিবেন না তাদেরকে বলবেন আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য।”
মনপুরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মামুন হোসেনের কাছে মফিজ মাওলানার বক্তব্যের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মফিজ মাওলানা কেন বক্তব্য দিবেনা ? বক্তব্য তো ওনারই দেয়ার কথা। শিশু সদন এতিমখানাটি তদন্ত করেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি গত ছয় মাসে দুই বার তদন্ত করেছি সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী পেয়েছি। কোন ধরনের ত্রুটির পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি আরও বলেন আপনারা রিপোর্ট করেন আমরা ইউএন স্যারের সাথে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব। ”
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ আসলে একটি তদন্ত কমিট গঠন করেছি তারা প্রতিবেদন দাখিল করলে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃহষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল বলছে—এতিমদের হক নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।