মামলার ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে মারিয়া আক্তার মিম (১৫) স্কুলে যাওয়ার সময় আসামি রাকিব তার সাঙ্গোপাঙ্গসহ তাকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় তার পরিবার মিমকে কোথায়ও খুঁজে পায়নি। পরবর্তীতে প্রায় ৫ মাস পর গত ২৭ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে ভোলা কাচিয়া ইউনিয়নের সাহমাদার গ্রামের মিম এর নানা বাড়ির উঠানে রাকিবের নানা মোঃ সিরাজ (৫৫) একটি এম্বুলেন্স যোগে মিমের মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনা সম্পর্কে ভোলা মডেল থানায় অবগত করলে পুলিশ এসে মিমের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ হত্যার ঘটনায় মারিয়া আক্তার মিমের বাবা বাদি হয়ে রাকিবসহ ৬ জনকে আসামী করে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩২১/২০২৫। রাকিবসহ অন্য আসামীরা হলেন- মোঃ সিরাজ (৫৫), মাকসুদুর রহমান (৩৫), মোঃ ফিরোজ (৪০), নুরুল ইসলাম (৫০) ও বিবি হাজেরা (৪৫)।
এ বিষয়ে মারিয়া আক্তার মিমের বাবা মোঃ মনির হোসেন বলেন, আসামী রাকিব ও সঙ্গীয়রা প্রায় ৭ মাস পূর্বে আমার নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে তার স্কুলের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পরে আমি সকল আত্মীয়দের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাইনি। পরে আমি ভোলা মডেল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ আমার অভিযোগ নেয়নি। অবশেষে গত ২৭ আগস্ট ২৫ ইং তারিখে আমার মেয়ের মৃত লাশ পেয়েছি। আমার মেয়ের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু শাহাদাত মোঃ হাসনাইন পরভেজ বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ মামলার প্রধান আসামি রাকিবকে পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে কোর্টে হাজির করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায় এবং অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।