নগরকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি।
ফরিদপুরের নগরকান্দার ৯নং লস্করদিয়া ইউনিয়নের জুঙ্গুরদী গ্রামে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে প্রকাশ্যে ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি করছে ভয়াবহ চক্র।
এর মূলহোতা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অহিদ খাঁ, যিনি লিংকন,মিজান ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর সহযোগিতায় কোটি কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছেন।সাইড কন্ট্রাক্টর মিলন সরাসরি মাটি কাটার ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত।অথচ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিক মহল রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ!
উর্বর মাটির স্তর ধ্বংস হওয়ায় আশপাশের জমিগুলো ধসে পড়ছে,কৃষকেরা চরম ক্ষতির মুখে।ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে খাদ্য ঘাটতি ও কৃষি বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে।বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে,যা কৃষিজমিকে স্থায়ীভাবে অনুপযোগী করে তুলবে।
মাটি কাটার ফলে ধুলাবালি ছড়িয়ে পড়ছে,যা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের কারণ হচ্ছে।।বন্যার সময় এসব কাটাকাটি জায়গাগুলো মারাত্মক ভূমিধসের ঝুঁকি তৈরি করবে,
ওভারলোড ট্রাক চলাচলে রাস্তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে,ট্রাক থেকে পড়ে থাকা মাটি বৃষ্টিতে কাদায় পরিণত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
পথচারী ও যানবাহনের চলাচল চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে,ইতোমধ্যে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন, নিয়মিত অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরব ভূমিকা পালন করছে,যেন তারা ক্ষমতাশালীদের ছায়ায় বন্দি।
গণমাধ্যম ও স্থানীয় সাংবাদিক মহলও রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ,যা দুর্নীতির ইঙ্গিত বহন করে,সরকারি সম্পদ ধ্বংস হলেও কোনো মামলা হয়নি,কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ,রাস্তা সংস্কার এবং কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন,যদি প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়,তাহলে তারা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
প্রশ্ন রইল—প্রশাসন কি ভূমিদস্যুদের রক্ষা করবে,নাকি সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে?