1. janapadernews24@gmail.com : janapadernews24@gmail.com janapadernews24@gmail.com : janapadernews24@gmail.com janapadernews24@gmail.com
  2. info@www.janapadernews.online : দৈনিক জনপদের নিউজ :
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলার ইলিশায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড। মাওলানা আমিনুল হক নোমানী (রহ.) এর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে পরিবর্তনে যুব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ‎ মিথ্যা চুরির অপবাদে ১৯ বছরের যুবকে হাতা-পা ভাঙ্গার অভিযোগ- বাপ/ছেলের বিরুদ্ধে! মনপুরার এতিমখানায় শিশুদের ভয় দেখিয়ে বাবার অস্তিত্ব অস্বীকার করতে বাধ্য করার অভিযোগ এলাকা বাসির ক্ষোভ ৫৩ লাখ টাকা হাতানো ‘জ্বিনের বাদশা’ অবশেষে র‍্যাব-৮ এর হাতে আটক বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধনিয়া ইউনিয়ন থেকে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত। ভোলায় দরজা খুলেই বাবা দেখলেন ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ নবজাতক কন্যা সন্তান পাওয়া গেছে ভোলা দৌলতখানে সময় টিভি সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

মনপুরায় রাজনৈতিক দল গুলোর জন্য সরকারি অনুদান না পেয়ে জেলে পরিবারে ঈদ আনন্দ নিয়ে সংশয়।

মোহাম্মদ মেহেদী হাসন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

 

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি,, জাটকা সংরক্ষণে চলছে ২ মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা। তাই মেঘনার অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ। এতে জেলেরা কর্মহীন হয়ে বেকার সময় পার করছেন। তারমধ্যে ৩ দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। আয়ের পথ বন্ধ থাকায় এই ঈদে পরিবারের মুখে হাসি ফুটানো নিয়ে এখনই জেলে এবং তাদের পরিবারে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ।

মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বিকল্প উপার্জনের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই কষ্টে আছে জেলে পরিবারগুলো। মেঘনায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন মনপুরায় এমন জেলের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার। তারমধ্যে জেলে নৌকাতে মজুরি দেন, প্রান্তিক এমন জেলের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।

ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দু’মাস মাছ ধরা বন্ধের পর কষ্টে দিন কাটাচ্ছে ভোলার মনপুরার জেলেদের। মাছ ধরা শুরু হতে বাকি এখনও ১ মাস। আর তাই খুশির ঈদেও মলিন মুখ জেলে পরিবারের সদস্যদের।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) উপজেলার বিভিন্ন জেলে পল্লী ঘুরে দেখা যায়, খালে অলস পড়ে আছে সারি সারি মাছ ধরার নৌকা। এসব নৌকা নদীতে নামতে মানা। কারণ, চলছে জাটকা সংরক্ষণে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা। এরমধ্যে পেরিয়েছে এক মাস এর মত। সামনে রয়েছে আরও এক মাস। ফলে মাছ ধরতে না পেরে কর্মহীন জেলেরা। মাছ ধরা যাবে না। তাই নদীপাড়ে বসে নীরব চাহনি তাদের।
উপজেলার উত্তররে রাজনেওয়া থেকে দক্ষিণে দক্ষিণ সাকুচিয়া পর্যন্ত সেই একই চিত্র। শুধু তাই নয়, নদীপাড়ের জেলেপল্লীতেও সুনশান নিরবতা। আয় বন্ধ থাকায় প্রান্তিক জেলে পরিবারগুলোতে অভাব এখন নিত্যসঙ্গী। চুলোতে হাড়ি, কিন্তু তাতে নেই জৌলুস। তার ওপর ধারদেনায় কোনো মতে দিন কাটছে তাদের।

দক্ষিণ সাকুচিয়া জেলেপল্লি ঘুরে জানা গেল, ঈদ এলেও খুশির বার্তা নেই জেলে পল্লিতে। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় চরম অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাদের। উপার্জন না থাকায় ঈদের দিন ভালো খাবার বা সন্তানদের নতুন পোশাক কিনে দিতে পারবে না তারা। এমন সংকটে ঈদের আগে সরকারি সহায়তা পায়নি বেশিরভাগ জেলে।
তবে অভিযোগ রয়েছে, নিষেধাজ্ঞা এই সময় জেলেদের সহয়তা সঠিক ভাবে তাদের মাঝে বন্টন হয়নি । তবে জেলেদের চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে (২৩ মার্চ) মনপুরায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন নেতাদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন দলের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে নৌবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া আদর্শগ্রাম কলনির বাসিন্দা কুলসুম বেগম । পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে চরম অভাবে দিন কাটছে তার। চারদিকে ঈদের আনন্দ থাকলেও তার ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফুটাতে পারেনি এবারের ঈদে। তাই কান্নাভেজা কন্ঠে শুধু অভাব আর শুন্যতার কথাই বলছেন । উপার্জন বন্ধ থাকায় চরম কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে তাকে।
কুলসুম বেগম আরো বলেন, নদীতে মাছ ধরা বন্ধ, ছেলেরা উপার্জন করতে পারছে না, সংসারে অভাব। তার উপর ঋণের চাপ । ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য ‍চিন্তা । আর তাই ঈদের সময়ও কষ্টে কাটাতে হচ্ছে।
শুধু কুলসুম বেগম নয়, বেশিরভাগ জেলে পরিবারের একই অবস্থা। ঘুরছে না তাদের সংসারের চাকা। ধার-দেনা করে এতোদিন সংসার চালালেও এখন ঈদের সময়ও এভাবেই দিন কাটাতে হচ্ছে।
বিছিন্ন চর কলাতলির জেলেপল্লীর গৃহবধূ রোকেয়া বেগমের সাথে সময়ের আলোর এই প্রতিবেদক এর কথা হলে তিনি বলেন,নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত একমাস তার পরিবারের কোনো আয় নেই। স্বামী বাড়িতে বসে বেকার সময় পার করছেন । দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষ। এতদিন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ কর্মহীন হয়ে বসে থাকলে তো না খেয়ে মরতে হবে। সামনে ঈদুল ফিতর। এতে চাই পরিবারে নতুন পোশাক আর ভালো খাবার। কিন্তু চাহিদা থাকলেও সামর্থ্য নেই তাদের।
শুধু তাই নয়, তাদের শিশু সন্তানরাও মুখিয়ে আছে ঈদে নতুন পোশাকের জন্য। কিন্তু আয়ের পথবন্ধ। তাই নতুন পোশাকের সঙ্গে ভালো খাবারও মিলবে কী না, এই সংশয় চোখে ও মুখে চিন্তার ভাজ ।

এদিকে, সরকারি প্রণোদনার চাল দেওয়া হলেও তার সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপনে জেলেদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য সরকারের কাছে মানবিক সহায়তার দাবি জানান মৎস্য ব্যবসায়ী ও উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম পলবান ।

চারদিকে ঈদের আনন্দ থাকলেও জেলেদের মুখে হাসি ফুটাতে পারেনি এবারের ঈদ। তাই কান্নাভেজা কন্ঠে শুধু অভাব আর শুন্যতার কথাই বলছেন উপজেলা জেলে পরিবারের সদস্যরা।
এমন বাস্তবতায় ঈদের আগে জেলেদের কোনো সহায়তা দিতে পারেনি মৎস্যবিভাগ। তবে সংকট দূর করতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান মৎস্য কর্মকর্তারা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.কালাম হোসেন বলেন, ঈদের আগে জেলেদের প্রথম দু’মাসের ভিজিএফ চাল দেওয়া হয়েছে, বাকি দু’মাসের চাল ঈদের পরেই বিতরণ শুরু হবে। তবে অতিরিক্ত কোন সহায়তা দেওয়া সম্ভবনা নেই ।
এদিকে জেলেদের ঘামে ভেজা শ্রমে মনপুরার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভূমিকা রাখলেও সেই জেলেদের এমন দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর যেন কেউ নেই।
ক্যাপশনঃ-জাটকা সংরক্ষন এর জন্য ২ মাস মনপুরায় ১৯০ কিলোমিটার নিষেধাজ্ঞা আওয়তায় রয়েছে ।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট