তজুমদ্দিন(ভোলা) প্রতিনিধি:
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ মে ২০২৫, শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ তজুমদ্দিন উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে ২০২৫) বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় তজুমদ্দিন মারকাজ মসজিদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তজুমদ্দিন বাসস্ট্যান্ড চত্বরে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ভোলা জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও তজুমদ্দিন উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মোসলেহউদ্দিন ইসলামপুরী।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ তজুমদ্দিন উপজেলা শাখার প্রতিনিধি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তজুমদ্দিন উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুফতি জাফর আহমদ, প্রতিনিধি মাওলানা মুফতি ঈসা, মাওলানা লোকমান হোসাইন, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইউসুফ।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তজুমদ্দিন উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, সহ-সভাপতি হোসাইন আহমদ, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আবদুর রহিম, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ তজুমদ্দিন থানা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ জুবায়ের মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাছনাইন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিস তজুমদ্দিন উপজেলা শাখার প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সায়েমসহ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস তজুমদ্দিন উপজেলা শাখার একাধিক সদস্য, দায়িত্বশীলরা।
এতে অংশগ্রহণ করেন তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মী, ওলামায়ে কেরাম, তৌহিদী জনতা, বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা।
বিক্ষোভকারীরা নারী কমিশনের কোরআন-হাদীস ও ইসলামবিরোধী প্রস্তাবিত প্রতিবেদন বাতিলের দাবি জানান। একই সঙ্গে সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বর্বরতা এবং ভারতে মোদী সরকারের মুসলিম বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানানো হয়।
গণমিছিল শেষে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী প্রস্তাব প্রত্যাহার না করা হলে তৌহিদী জনতা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।”
সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন,ভারতের মুসলমানদের শান্তি কামনা ও শহীদ মুসলিমদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মুনাজাত করা হয়।