ভোলা প্রতিনিধিঃ
জায়গা জমির ঝামেলা নতুন কিছু নয়, পত্র পত্রিকা হাতে নিলেই দেখা যায় জমি দখলের সংবাদ। আর এই জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খেতে হয় মিথ্যা মামলা করতে হয় মারামারি খাটতে হয় জেল। এতে করে যেমন নষ্ট হয় অর্থ অন্যদিকে সময়ের অপচয়। এই রকমই একটি জমি নিয়ে ভুগছেন পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের সদুর চর এলাকার বাসিন্দা মৃত মকবুল আহমেদ এর ওয়ারিশরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মকবুল আহমেদ এবং কেরামত আলী নামে দুই ভাই ১৯৪৭ সালে নিলাম খরিদ সূত্রে পৃথকভাবে ৯৪ শতাংশ করে জমির মালিক হন। পরবর্তীতে উভয়ের মৃত্যু হলে কেরামত আলীর ওয়ারিশরা গোপনে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মকবুল আহমেদের ওয়ারিশদের অংশ নিজেদের দখলে রাখেন।
এ নিয়ে মামলায় জাল জালিয়াতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আদালত তদন্তভার সিআইডির উপর ন্যস্ত করেন। পাশাপাশি বিরোধীয় জমিতে রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত কোনো কার্যক্রম চালাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
সম্প্রতি কেরামত আলীর ওয়ারিশরা আদালতের আদেশ অমান্য করে বিরোধীয় জমি থেকে গাছ কাটে। এ ঘটনায় মকবুল আহমেদ এর ওয়ারিশরা প্রতিবাদ করলে হাবিবুর রহমান, ইউনুস, কবির, আব্দুল হক, শাজাহান সহ বেশ কয়েকজন আঃ রব এর বাড়িতে হামলার উদ্দেশ্যে হাজির হয়। আত্মরক্ষার্থে আঃ রব, রাকিব নিজ বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেয়, যা প্রতিপক্ষ ভিডিওধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য এবং ডিসি অফিসে কর্মরত একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর প্রভাব কাজে লাগিয়ে তারা এসব অন্যায় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত, হাবিবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তারা সেই দিন ঘাস কাটতে গিয়েছিলন, নিলাম খরিদ সুত্রে ওই জমির মালিক আঃ বারেক, আঃ মালেক, গাছ কাটার বিষয়টি শিকার করে আদালতে নিষেধাজ্ঞা মেনে বাড়ির কাজ বন্ধ রেখেছেন বলে দাবী তাদের।